মৌলবাদী দক্ষিণপন্থীদের শাসনামল হলে হয়তো এতো ভারাক্রান্ত হতাম না। কেন এতো দুঃসময় পার করবে প্রিয় বাংলাদেশ। এ প্রশ্ন আজ অনেকের মনে বারবার বারবার ঘুরপাক খেলেও আমার মনে ঘুরপাক খায় না। কারণ নিজের অজান্তেই শাসক তুমি তোমার চরিত্র প্রকাশ করে দিয়েছো। এখন প্রকাশিত চরিত্রের যে মুখ তুমি নিজেই খুলে দিয়েছো। তা তুমি চাইলেও ঢাকতে পারবে না। কারণ তুমি নিজে নিজেই নিজের মুখে চুনকালি দিয়েছো। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মানিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারোনি। তুমি তনু’র ধর্ষক ও খুনীর বিরুদ্ধেও ব্যাবস্থা নিতে পারো না। তোমার রন্ধ্রে রন্ধ্রে কেবল ধুর্তামি। কী করে ঢাকবে ওই মুখ। তুমি জয়নাল হাজারির পক্ষে যাও তুমি তাহেরের পক্ষে যাও শামীম ওসমানের পক্ষে যাও। তার মানে তুমি খুন গুম হত্যারই পক্ষে। তুমি একাত্তরের গণহত্যার যদি বিপক্ষেরই হও তবে কেন এই খুনীদের প্রশ্রয় দাও? কেন আজ রাজধানী থেকে গ্রাম সর্বত্র খুনী গডফাদারদের করালে দিয়ে দিচ্ছো বাংলাদেশকে? তুমি কি খুনের রাজ্য প্রতিষ্ঠিত করতে চাও সর্বত্র ? আগেও বলেছি এখনও বলছি জেনে রেখো ইতিহাস তোমার প্রতিটি কাজের মুল্যায়ন করবে। তোমার ভন্ড বিরোধী দল যাদের হাতে নুর হোসেন, নাসিম, ডা: মিলনদের রক্ত সেই বিরোধী দলের (জাপা) সাংসদ শিক্ষকের গায়ে হাত তোলে। ধর্ম রক্ষার নাম করে শিক্ষককে কান ধরে উঠবস করায়। তোমার ইন্ধন না থাকলে এরা এতো খুন, নষ্টামি গুন্ডামি করতে পারে না। তুমি এদের যে প্রশ্রয় দিচ্ছো তার খেসারত তোমাকে দিতেই হবে। যতই ভাবো সময় তোমার নো নেভার। সময়টা তুমি তুলে দিচ্ছো দুঃসময়ের কাছেই। অপেক্ষা করো বুঝবে মানুষের ঘৃণার আগুনের ফুল্কি কতো। তোমার যত অর্জন ততটা ধ্বংস করছে তোমারই দানব শাসন যন্ত্রের শাসকেরা। তোমার পার্টি পুর্টির ফুর্তিবাজ ধান্দাবাজরা।
তুমি চাও না জঙ্গিরাও চায় না আমরা লিখি। রবীন্দ্রনাথ-আইনস্টাইন পড়ি। তোমাদের ঐতিহাসিক মিলনে নিয়তই খুন হচ্ছে দেশের সূর্য্যসন্তানরা। রক্তে রক্তে লাল করে ফেলেছো পুরো দেশটা। তাতে তোমাদের কোন যায়ও না আসেও না । তোমরা চোখে দিয়েছো ঠুলো আর কানে দিয়েছো তুলো। মনে রেখো এগুলো অন্ধকার সময়ে নিয়ে যাওয়ার কাজটিই করে যাচ্ছো। এ ফাঁদে তুমি ফেলো না বাংলাদেশকে। এফাঁদ নির্মাণ করলে এ ফাঁদে তুমিই পড়বে।
সময়কে যদি নিয়ন্ত্রণে আনতে চাও উপায় একটাই ঘুরে দাঁড়াও সময়টাকে মানুষের করে তোলো। না হলে মানুষ ঐক্যবদ্ধ হবেই। সময়টা তোমার কাছ থেকে কেড়ে নেবেই। তোমার কাছ থেকে কেড়ে নিলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। কারণ ভাল মানুষের কাছে প্রিয় বাংলাদেশের সময়টা যাবে না। ভাল মানুষগুলো বড় নিরীহ তারা সহসা এক হতে পারবে না। এই দুঃসময়টা চাইলেই সহসা সুসময় করতে পারবে না। তুমি ঘুরে দাঁড়াও নইলে মানুষ ঘুরে দাঁড়াবেই তাতে তুমি থাকো আর নাই থাকো।
No comments:
Post a Comment